শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৪ ১৪৩১ ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর শাসনামলে যে কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতার প্রত্যক্ষ মদদে ২০০১ সালের নির্বাচনোত্তর সহিংস ঘটনা ঘটে আলমগীর কবির তাদের মধ্যে অন্যতম। তারই নেতৃত্বে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী শাসনামলে বাংলাদেশে জেএমবির উত্থান হয়। ঘটে খুন, লুটপাট ও জমিদখলের মত ঘটনা এবং প্রত্যেকটি ঘটনায় তিনি নিজে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকাতে সাধারণ জনগণ তাকে “দ্যা গডফাদার” হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি জনগণের কাছে এখনও ত্রাস হিসাবে পরিচিত। আলমগীর কবির ২০০৭ সালে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের বাড়িঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ সহ একাধিক মামলার আসামী। ক্ষমতার ৫ বছরে আলমগীর কবিরের তান্ডবে অতিষ্ট ছিল নওগাঁর জনমানুষ। প্রচন্ড ক্ষমতাধর হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করার সাহস করেনি। পুলিশ সহ সবাই আতংকিত হয়ে থাকতেন। কথা বলার সাহস করেননি প্রশাসনের কোন কর্মকর্তা। একারণে সে সময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় আলমগীর কবিরের রাজ্যে সবাই বোবা। ক্ষমতা হারালেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে কাজে লাগিয়ে তিনি অবৈধ আয়ের পথ চালু রেখেছেন। বিএনপির বিভিন্ন কমিটির পদে বসিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের অর্থ। এছাড়া নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য করেও হাতিয়ে নিচ্ছেন অর্থ। লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের নির্দেশে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির পথসভায় বোমা হামলার মত ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে আওয়ামী লীগের উপর দায় চাপাতে চান তিনি। কিন্তু আসল ঘটনা জনগণের সামনে চলে আসায় ফাঁস হয়ে যায় তার কৃতকর্ম। কুখ্যাত জঙ্গী বাংলা ভাইয়ের প্রকাশ্য মদদদাতা ছিলেন তিনি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ ৬ (আত্রাই-রানীনগর) আসন থেকে আলমগীর কবিরকে মনোনীত করায় বিএনপির অবস্থান সম্পর্কে বাংলাদেশের সচেতন নাগরিকদের ধারণা এখন সুস্পষ্ট।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়